গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ মঙ্গলবার সকাল ১০:০০ ঘটিকায় গণভবন হতে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে দেশব্যাপী ২৪ টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ এর আওতায় ১৫৭ টি উন্নয়ন প্রকল্পের ১০০৪১ টি অবকাঠামোর সমন্বিত উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। উক্ত প্রকল্পসমূহের মধ্যে পেট্রোবাংলার ২৩ টিসহ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্প যার মধ্যে জিটিসিএল এর ০৬ টি প্রকল্প রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব), জনাব জনেন্দ্র নাথ সরকার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জনাব মোঃ হুমায়ুন কবীর এবং জিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌ. রুখসানা নাজমা ইছহাক রংপুর জেলাস্থ পীরগঞ্জ টিবিএস-এ জিটিসিএল এর নবনির্মিত ৩০" ব্যাসের ১৫০ কি.মি. দীর্ঘ উচ্চচাপ সম্পন্ন বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইনের শুভ উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন ও গ্যাসের শিখা প্রজ্জ্বলন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, রংপুর, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, জিটিসিএল এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ, পীরগঞ্জ পৌর মেয়র ও অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জিটিসিএল কর্তৃক বাস্তবায়িত আরো ০৫ টি প্রকল্প (ক) মহেশখালী জিরো পয়েন্ট (কালাদিয়ার চর)-ধলঘাট পাড়া, সিটিএমএস গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প (৪২" ব্যাসের ৭ কি.মি.), (খ) মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন প্রকল্প (৪২" ব্যাসের ৭৯ কি.মি.), (গ) আনোয়ারা-ফৌজদারহাট গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন প্রকল্প (৪২" ব্যাসের ৩০ কি.মি.), (ঘ) চট্টগ্রাম-ফেনী-বাখরাবাদ গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন প্রকল্প (৩৬" ব্যাসের ১৮১ কি.মি.) ও (ঙ) ধনুয়া- এলেঙ্গা এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় - নলকা গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন প্রকল্পের (৩০" ব্যাসের ৬৭.২০ কি.মি.) কাজ ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে এবং উক্ত প্রকল্পসমূহের আওতায় নির্মিত গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে দেশে উৎপাদিত প্রাকৃতিক গ্যাস এবং বিদেশ হতে আমদানিকৃত আর-এলএনজি চট্টগ্রামসহ সমগ্র দেশে সরবরাহের মাধ্যমে জ্বালানি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বর্ণিত প্রকল্পসমূহে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামাঙ্কিত ফলক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, গাজীপুর, টাংগাইল, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা, রংপুর ও নীলফামারী জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, জিটিসিএল এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।