পরিচালন কার্যক্রম
জিটিসিএল পরিচালিত পাইপলাইন ও স্থাপনাসমূহের নির্ধারিত ডেলিভারি পয়েন্ট দ্বারা ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে তিতাস গ্যাস, বাখরাবাদ গ্যাস, কর্ণফুলী গ্যাস, জালালাবাদ গ্যাস, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস ও সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানিসমূহের অধিভুক্ত এলাকায় যথাক্রমে ১,৩৪৪.৪৪, ২৫১.৪২, ২৮৭.১২, ১২৬.৮৭, ১৩৮.০৫ ও ২৯.০০ কোটি ঘনমিটার অর্থাৎ ২,১৭৬.৯০ কোটি ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ করা হয় যা পূর্ববর্তী বছর হতে ১০.৯৭% কম। অপরদিকে, উল্লিখিত সময়ে উত্তর-দক্ষিণ কনডেনসেট পাইপলাইনের মাধ্যমে শেভরনের জালালাবাদ ও বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিঃ এর কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্র হতে ১,৬৪৬.০২ লক্ষ লিটার কনডেনসেট পরিবহন করা হয় যা পূর্ববর্তী বছর হতে ৩৪.৬২% কম।
স্কাডা এন্ড টেলিকম ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক জিটিসিএল প্রধান কার্যালয়স্থ মাস্টার কন্ট্রোল সেন্টার (এমসিসি) এবং অক্সিলারি কন্ট্রোল সেন্টার (এসিসি), আশুগঞ্জ হতে স্কাডা সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত সমগ্র দেশে জিটিসিএল-এর পাইপলাইনে সরবরাহকৃত ও গ্যাস মিটারিং স্টেশনের মাধ্যমে পরিমাপকৃত গ্যাসের তথ্য-উপাত্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে পর্যবেক্ষণ ও সংগ্রহ করা হচ্ছে। আগারগাঁও, আশুগঞ্জ ও এলেঙ্গা স্কাডা কন্ট্রোল সেন্টারের মাধ্যমে দেশের সর্বত্র গ্যাসের Load Balancing কাজে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। স্কাডা সিস্টেমকে সচল রাখার জন্য স্কাডা এন্ড টেলিকম সিস্টেমের টেলিকম সিস্টেম, ইন্সট্রুমেন্টেশন সিস্টেম, ফ্লো-কম্পিউটার, নেটওয়ার্কিং সিস্টেম এবং সার্ভার ও ওয়ার্কস্টেশন ইত্যাদির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে।
কম্প্রেসর সংক্রান্ত কার্যক্রম
আশুগঞ্জ কম্প্রেসর স্টেশনে ৭৫০ এমএমএসসিএফডি ক্যাপাসিটির ৩টি কম্প্রেসর স্থাপন করা হয়েছে যার মধ্যে ২টি অপারেটিং মোড-এ চলে এবং এর মোট ক্যাপাসিটি (৭৫০×২) ১৫০০ এমএমএসসিএফডি, অপর কম্প্রেসরটি স্ট্যান্ডবাই হিসেবে থাকে। আশুগঞ্জ কম্প্রেসর স্টেশনের ডিজাইন সাকশান প্রেসার ৬৮০ পিএসআইজি এবং ডিজাইন ডিসচার্জ প্রেসার ১০০০ পিএসআইজি। অপরদিকে, এলেঙ্গা কম্প্রেসর স্টেশনে ২৫০ এমএমএসসিএফডি ক্যাপাসিটির ৩টি কম্প্রেসর স্থাপন করা হয়েছে যার মধ্যে ২টি অপারেটিং মোড-এ চলে এবং এর মোট ক্যাপাসিটি (২৫০×২) ৫০০ এমএমএসসিএফডি, অপর কম্প্রেসরটি স্ট্যান্ডবাই হিসেবে থাকে। এলেঙ্গা কম্প্রেসর স্টেশনের ডিজাইন সাকশান প্রেসার ৬৫০ পিএসআইজি এবং ডিজাইন ডিসচার্জ প্রেসার ১০০০ পিএসআইজি। Operational flexibility বৃদ্ধির জন্য আশুগঞ্জ গ্যাস কম্প্রেসর স্টেশনে Modification works সম্পাদন করা হয়েছে। ফলে আশুগঞ্জ গ্যাস কম্প্রেসর স্টেশনের মাধ্যমে আমদানিকৃত আরএলএনজি দ্রুততার সাথে Evacuation করা সম্ভব হচ্ছে। দেশীয় গ্যাস ফিল্ডসমূহের উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে আমদানিকৃত আরএলএনজি আশুগঞ্জ গ্যাস কম্প্রেসর স্টেশনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিশেষত লোড সেন্টারগুলোতে সঞ্চালন করা হচ্ছে। জাতীয় গ্যাস গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় বর্তমানে এলেঙ্গা গ্যাস কম্প্রেসর স্টেশনের ফ্লো কন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।
লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) হতে প্রাপ্ত আরএলএনজি সঞ্চালন কার্যক্রম
কক্সবাজারের মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক ১৮-০৮-২০১৮ তারিখে ৫০০ এমএমএসসিএফডি (MMSCFD) ক্ষমতা সম্পন্ন ১টি Floating Storage and Regasification Unit (FSRU) এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সামিট করপোরেশন লিমিটেড কর্তৃক গভীর সমুদ্রে ৫০০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতা সম্পন্ন আরও ১টি FSRU স্থাপন করা হয়েছে। উক্ত FSRU দুটির মাধ্যমে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৫৭৪.৫২ কোটি ঘন মিটার গ্যাস (আরএলএনজি) অর্থাৎ দৈনিক গড়ে ৫৫৫.৮৬ এমএমএসসিএফডি গ্যাস জাতীয় গ্যাস গ্রিডে সঞ্চালন করা হয়েছে।
বার্ষিক র্কমসম্পাদন সংক্রান্ত র্কাযক্রম
সরকারি কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম (Government Performance Management System) এর আওতায় পেট্রোবাংলার সাথে জিটিসিএল-এর ২২-০৬-২০২২ তারিখে স্বাক্ষরিত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহের লক্ষ্যমাত্রা এবং অর্জন নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
কার্যক্রম |
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা |
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রকৃত অর্জন |
---|---|---|
রংপুর তথা দেশের উত্তর জনপদে গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন সম্প্রসারণ |
৫০ কি.মি. |
৬৯ কি.মি. |
এইচডিডি পদ্ধতিতে নদী/খাল ক্রসিং |
৪ টি |
৮ টি |
ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ |
৪ টি |
৪ টি |
জিটিসিএল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ কোম্পানির নিকট গ্যাস সরবরাহ |
৭৭১ বিসিএফ |
৭৬৯.৬৩ বিসিএফ |
স্কাডা সিস্টেমের মাধ্যমে জাতীয় গ্যাস গ্রিড পরিচালন |
১২ ফাংশনাল-মাস |
১২ ফাংশনাল-মাস |
ক্যাথডিক প্রটেকশন সিস্টেম মনিটরিং |
১০০% |
১০০% |
লাভজনক পরিচালনার লক্ষ্যে রাজস্ব সংগ্রহ |
৯৫০.০০ কোটি টাকা |
১০৫৬.৫৮ কোটি টাকা |
ভূ-উপরিস্থ পাইপলাইন ও স্থাপনাসমূহের রংকরণ কাজ সম্পাদন |
৩০ টি |
৩১ টি |
জনবলের প্রশিক্ষণ |
৯০০ জন |
১৩০১ জন |
অভ্যন্তরীণ শিখন সেশন |
৪ টি |
৪ টি |
Knowledge Sharing সেশন |
৬ টি |
৬ টি |
অভ্যন্তরীণ শিখন সেশন |
৪ টি |
৪ টি |
জনবল নিয়োগ |
৩৬ জন |
৬৪ জন |
এ ছাড়া ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে স্বাক্ষরিত চুক্তির “সুশাসন ও সংস্কারমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন জোরদারকরণ”-এর আওতাধীন কার্যক্রম যথা: শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, ই-গভর্ন্যান্স/উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, অভিযোগ প্রতিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।পেট্রোবাংলার সাথে জিটিসিএল-এর ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের স্বাক্ষরিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (Annual Performance Agreement) কৌশলগত উদ্দেশ্য এবং সুশাসন ও সংস্কারমূলক কার্যক্রমসমূহ সন্তোষজনকভাবে সম্পাদনপূর্বক পেট্টোবাংলা কর্তৃক মূল্যায়নে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এপিএ-তে জিটিসিএল ৯৯.৭৪% নম্বর পেয়ে ১৩ কোম্পানির মধ্যে ২য় স্থান অর্জন করেছে।
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সামগ্রিক উদ্যোগের সহায়ক কৌশল হিসেবে ‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়’ নিয়ে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় ও পেট্রোবাংলার নির্দেশনা অনুযায়ী কোম্পানিতে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কোম্পানির নৈতিকতা কমিটি কর্তৃক ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য প্রণীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে সরকার প্রণীত ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান (সংশোধন) নীতিমালা-২০২১’ অনুসরণে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে গ্রেড-৪ হতে গ্রেড-৯ ভুক্ত ১ জন এবং গ্রেড-১০ হতে গ্রেড-১৬ ভুক্ত ১ জন কর্মচারী-কে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
উদ্ভাবনী
মহেশখালী জিরো পয়েন্ট এলাকায় জিটিসিএল-এর প্ল্যাটফর্মে Explosion ও Water proof আইপি ক্যামেরা এবং এলার্ম সিস্টেম স্থাপনের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। মহেশখালী জিরো পয়েন্ট প্ল্যাটফর্মে ১১টি আইপি ক্যামেরা ও ০২টি আইপি হর্ন স্পিকারের মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্ল্যাটফর্ম এরিয়া নিরাপত্তা বেস্টনির আওতায় আনা হয়েছে। মহেশখালী সিটিএমএস কন্ট্রোল রুম থেকে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মের ক্যামেরা ও হর্ন সিস্টেমের সরঞ্জামাদির সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। প্ল্যাটফর্মের উপরিস্থ যাবতীয় যন্ত্রপাতি, ক্যামেরা ও হর্ণসমূহ ২৪ ঘন্টা সোলার এনার্জির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। ফলে সাগরের জোয়ার-ভাটা সংবলিত দূর্গম প্ল্যাটফর্মটিতে গমনাগমন ব্যতিরেকেই প্ল্যাটফর্ম থেকে ৭ কি.মি. দূরে অবস্থিত মহেশখালী সিটিএমএস কন্ট্রোল রুম থেকে প্ল্যাটফর্মটি পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে। উল্লেখ্য, এলার্ম সিস্টেম (মাইক্রোফোন ও হর্ণ স্পিকার) এর মাধ্যমে প্ল্যাটফর্ম এলাকার উচ্চচাপ গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইনের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য নির্দেশনা প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি
দাপ্তরিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন এবং পেপারলেস অফিসে পরিণত করার লক্ষ্যে কোম্পানিতে Enterprise Resource Planning/Enterprise Asset Management (ERP/EAM) এবং ই-নথি সিস্টেম নিয়মিত ব্যবহার করা হচ্ছে।
Business Intelligent (BI) ড্যাশবোর্ড-এর মাধ্যমে দৈনিক গ্যাসের উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রমের গ্রাফিকাল প্রক্ষেপণ নিয়মিত প্রদর্শন করা হচ্ছে। ERP/EAM System এর ব্যাক-আপ সিস্টেম হিসেবে ব্যবহৃত DR Center টি বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড (বিডিসিসিএল)-এর ক্লাউডে স্থানান্তরের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ SAP মডিউল কনফিগারেশন, রিপোর্ট প্রস্তুতকরণ এবং ERP সাপ্লায়ার টিমের সাথে কাজ করে প্রতিদিনের সমস্যার সমাধান করছে। কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ মিটিং/বোর্ড সভা ZOOM প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভার্চ্যুয়ালি সম্পাদন করা হচ্ছে।
কোম্পানির ওয়েস্টার্ন জোনের কেপিআই স্টেশনগুলোকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা বেস্টনির মধ্যে আনায়নের লক্ষ্যে আঞ্চলিক মোট ০৯টি কার্যালয়ে (হাটিকুমরুল, বাঘাবাড়ি, বনপাড়া, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, বগুড়া, ভেড়ামারা, খুলনা ও কুষ্টিয়া টিবিএস) আইপি ক্যামেরা স্থাপনের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। ইস্টার্ন জোনের ০৩টি কেপিআই স্থাপনাকে (আশুগঞ্জ, মুচাই এবং ফেনী) আইপি ক্যামেরা সিস্টেমের আওতায় আনায়নের লক্ষ্যে সরবরাহকারীর সাথে চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে।
কোম্পানির ওয়েবসাইট ও ইমেইল সার্ভারের বর্তমান ডোমেইন “gtcl.org.bd” হতে পরিবর্তন করে “gtcl.gov.bd” করা হয়েছে। বর্তমানে জিটিসিএল-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://gtcl.gov.bd) এবং মেইল সার্ভার (https://mail.gtcl.gov.bd) URL-এ পরিচালিত হচ্ছে। ওয়েবসাইট ও মেইল সার্ভারের সুরক্ষার জন্য Secured Socket Layer (SSL) Certificate ক্রয় করা হয়েছে এবং সার্ভারে Install করা হয়েছে। জাতীয় তথ্য বাতায়নের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট নিয়মিত মনিটরিংসহ প্রয়োজনীয় সকল তথ্য যথাসময়ে ও তাৎক্ষণিকভাবে হালনাগাদ করা হচ্ছে।
মিটারিং সংক্রান্ত কার্যক্রম
জিটিসিএল ২০টি ইনটেক পয়েন্টের মাধ্যমে গ্যাস গ্রহণ করে এবং জিটিসিএল পাইপলাইনের ৬৪টি অফটেক পয়েন্ট হতে বিতরণ কোম্পানিকে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। উক্ত ৬৪টি অফটেক পয়েন্টের মধ্যে জিটিসিএল এর নিয়ন্ত্রণাধীন ২০টি অফটেক পয়েন্ট এবং বিতরণ কোম্পানির নিয়ন্ত্রণাধীন ৪৪টি অফটেক পয়েন্ট রয়েছে। উৎপাদিত মোট গ্যাসের ৭০% হতে ৭৫% জিটিসিএল সঞ্চালন করে থাকে। অবশিষ্ট পরিমাণ গ্যাস বিতরণ কোম্পানিসমূহ তাদের নিজস্ব সঞ্চালন পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাসফিল্ড হতে সরাসরি গ্রহণ করে। মিটারিং ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনয়নের লক্ষ্যে ইনটেক ও অফটেক পয়েন্টে অবস্থিত মিটারসমূহের মাসিক ভিত্তিতে নিয়মিত যৌথ ক্যালিব্রেশন করা হচ্ছে।
ইনটেক ও অফটেক মিটারসমূহে গ্যাসের পরিমাপের প্রায় ২-৩% পার্থক্য পরিলক্ষিত হওয়ায় ৭টি কমিটির মাধ্যমে গ্যাস উৎপাদন ও বিপণন কোম্পানি ভিত্তিক মিটারিং ব্যবস্থার স্বচ্ছতা আনয়ন, সিস্টেম লস, ইনটেক ও অফটেক-এর পার্থক্য হ্রাসকরণ এবং ইনটেক ও অফট্রান্সমিশন মিটারসমূহের বিদ্যমান ত্রুটি চিহ্নিতকরণ ও সমাধানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অফ ট্রান্সমিশন মিটারিং প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন স্থানে ১০টি মিটারিং স্টেশন স্থাপন, ৪টি পুরাতন মিটারিং স্টেশন প্রতিস্থাপন ও ৪টি মিটারিং স্টেশন মডিফিকেশনের কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি অফটেক পয়েন্টে নতুন মিটার স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।